Online Visa
চেক করার বিভিন্ন দেশের ওয়েব এড্রেস।
Online Visa
চেক করার বিভিন্ন দেশের ওয়েব এড্রেস।
রোগ-ব্যধির জম তুলসী
Linux Mint Free Download Latest Version for Windows. It is full offline installer standalone setup of Linux Mint Free Download.
Linux Mint is a powerful and modern version amongst other Linux distributions. The OS is based on Debian and Ubuntu framework and functionality. Users can process with different custom formatted files without any issues. The OS is equipped with various pre-installed application and program for an easy head start and work. It has built-in music and movie codecs with popular formats supported.
Linux Mint lets users customize their desktop and settings as they require or desire. This version uplifts the decision for those who are thinking of switching to Linux. This version is free and open-source for all with a powerful terminal and command line. It supports HDI support for experiencing high-resolution display. Improved with language settings and other enhancements resulting in better and optimized user experience. It has simple policies for automatic updates for security and making sure the experience doesn’t interrupt or cause any issues.
Below are some noticeable features which you’ll experience after Linux Mint free download.
Before you start Linux Mint free download, make sure your PC meets minimum system requirements.
Click on below button to start Linux Mint Free Download. This is complete offline installer and standalone setup for Linux Mint. This would be compatible with windows.
চারপাশে হারামের এতো এতো ছড়াছড়ি যে, হাজার চেষ্টা করেও যেন এসব থেকে নিষ্কৃতি মিলানো সেরকম দুষ্কর, হাদিসের ভাষায় যেরকম দুষ্কর বলা হয়েছিল হাতের তালুতে আগুনের কয়লা ধরে রাখার বিষয়টাকে। ফিতনা এখন হাতের মুঠোয়—ফোন খুললেই যেন হুড়মুড় করে উদ্ভাসিত হয়ে উঠে চোখের সামনে।
ফিতনার এই বিষবাষ্প থেকে বাঁচতে আমাদের চেষ্টারও অন্ত নেই। আমরা মোবাইল কম ব্যবহার করি, হারাম কন্টেন্ট থেকে দূরে থাকি, হারাম ছড়ায় এমন ব্যক্তি থেকেও রাখি নিরাপদ দূরত্ব। কিন্তু, এতোসব চেষ্টা তদবিরের পরও কি আমরা আদৌ নিরাপদ? আদৌ কি আমরা সকল হারাম কন্টেন্ট আর তার নির্মাতাদের এড়িয়ে যেতে পারি?
সেটা সম্ভব হয় না, কারণ এসব হারাম যারা বানায় আর যারা ছড়ায়, তাদের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা জড়িত এসবের সাথে। সুতরাং আমি আর আপনি দেখতে না চাইলেও আমাদের টাইমলাইনে, আমাদের ভিডিওর মধ্যে, আমাদের পড়তে থাকা আর্টিকেলের মধ্যে তারা কখনো ‘সাজেশান’ অথবা কখনো ‘পুশ’ নোটিফিকেশন আকারে সেসব হারাম কন্টেন্ট আর তার উৎসকে অনুপ্রবেশ করিয়ে দেয়।
স্ক্রীনের এই হারাম দেখা থেকে বাঁচার দুটো উপায় হতে পারে। প্রথম উপায়—স্মার্টফোন ব্যবহারটাই বাদ দেওয়া। কিন্তু আমরা জানি, স্মার্টফোন বর্তমানে আমাদের জীবনের সাথে এমনভাবে মিশে গেছে যে, এটাকে বাদ দিয়ে কাজ আর জীবনকে অনেকপর্যায়ে কল্পনাও করা যায় না ।
দ্বিতীয় উপায় হলো—এমন কোনো প্রযুক্তির দ্বারস্থ হওয়া যারা আমার সামনে আসা হারাম জিনিসগুলোকে আটকে দেবে।
কিন্তু, মুসলিম-ফ্রেণ্ডলি এই প্রযুক্তি কোথায় পাবেন আপনি, তাই তো?
আপনার জন্য সেরকম একটা প্রযুক্তি নিয়েই হাজির হয়েছে কাহাফ গার্ড।
কাহাফ গার্ড অ্যাপটা ডাউনলোড করে যদি আপনি ফোনে কানেক্ট করে রাখেন, তাহলে এর DNS সিস্টেম ভার্চুয়াল জগতের মিলিয়ন মিলিয়ন হারাম কন্টেন্ট আপনার সামনে আসা থেকে আটকে দেবে।
অর্থাৎ, আপনি যখন কোনোকিছু সার্চ দেন ইউটিউব অথবা গুগলে, তখন সাজেশানে এমন অনেক ভিডিও বা ওয়েবসাইট অথবা আর্টিকেল লিঙ্ক চলে আসা যার মধ্যে হারাম কন্টেন্ট বিদ্যমান। কাহাফ গার্ড সেসমস্ত হারাম উৎসগুলোকে আপনার সামনে আসতে দিবে না।
কাহাফ গার্ড আরো যেসব সুবিধা আপনাকে দেবে:
০১. কোনো ধরণের হারাম বিজ্ঞাপন আপনার সামনে শো করবে না। আর, বিজ্ঞাপন ব্যতীত যেকোনো ওয়েবসাইট অনেক দ্রুত লোড হয় । ফলে, আপনার জন্য যেকোনো সাইটে এক্সেস নেওয়া আগের চাইতে সহজতর হবে।
০২. ৫.৫ মিলিয়ন হারাম ওয়েবসাইট আপনার সামনে আসা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বাই ডিফল্ট। ফলে, গুগল বা অন্যান্য ব্রাউজার আমাদের সামনে রেগুলার বেইসিসে যেসব হারাম ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট শো করতো, সেসবের অধিকাংশই আর আসতে পারবে না।
০৩. ইসলামের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ায় বা ইসলামবিদ্বেষ প্রচার করে এমন এন্টি-ইসলামিক ওয়েবসাইটগুলোকে কাহাফ গার্ড ব্লক করে দেবে।
০৪. পর্ণোগ্রাফিক ওয়েবসাইট, অশ্লীল ওয়েবসাইট, জুয়া বা প্রতারণা টাইপ ওয়েবসাইট, ফিশিং বা ড্রাগ ওয়েবসাইট সহ যাবতীয় হারাম ওয়েবসাইট ব্লক করে দেবে এই কাহাফ গার্ড।
০৫. গুগল/Bing এ দিবে সেইফ সার্চ নিশ্চয়তা যা অশ্লীল কন্টেন্ট সামনে আসা থেকে আটকে দেবে।
০৬. ইউটিউবে অ্যাডাল্ট বা অশ্লীল ভিডিও ব্লক করবে।
মোস্ট ইন্টারেস্টিংলি, কাহাফ গার্ড অ্যাপ একদম ফ্রি এবং অ্যাড মুক্ত অ্যাপ । শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য নিরাপদ এবং হারাম মুক্ত ইন্টারনেট নিশ্চিত করাই এই প্রজেক্টের একমাত্র লক্ষ্য।
কমেন্টে দেওয়া লিঙ্কগুলো থেকে Kahf Guard অ্যাপটা নামিয়ে নিন। অথবা, প্লে-স্টোর/অ্যাপ স্টোরে গিয়ে Kahf Guard লিখলেই পেয়ে যাবেন অ্যাপটি।
কাহাফ গার্ড ব্যবহার করুন এবং দূরে থাকুন ইন্টারনেটের যাবতীয় হারাম কন্টেন্ট থেকে । নিজে ব্যবহার করুন, সাথে নিজের পরিবার, বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজন সহ সকলকে কাহাফ গার্ড ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করুন ।
আলহামদুলিল্লাহ, এতোবড় এই প্রজেক্টে আমার খুব ক্ষুদ্র আকারে হলেও কন্ট্রিবিউশান থাকছে—সেটাই মহা আনন্দের 💚
আমাদের ইন্টারনেট হোক অশ্লীলতা মুক্ত 💚
App website-
https://kahfguard.com/
সৌজন্যে: সোশ্যাল ইয়ুথ এসোসিয়েশন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আরব পুরুষদের রীতি ছিল লম্বা চুল রাখা। রাসুল (ﷺ) নিজেও লম্বা চুল রাখতেন। তার চুল কখনো কানের মাঝামাঝি, কানের লতি কিংবা দুই কাঁধ পর্যন্ত লম্বা থাকতো। তার চুল কাঁধ ছাড়িয়ে আরো লম্বা হত বলে জানা যায়। [১. তিরমিযী, আশ শামাইল আল মুহাম্মাদিয়া/৪৭-৫০, আবু দাউদ, আস সুনান ৪/৮১, আলবানী মুখতাসারুশ শামাইল/ ৩৪-৩৬।]
কখনো এতদূর অবধি লম্বা হত যে তা বিনুনি/গুচ্ছ করে রাখতেন। তার চাচাতো বোন উম্মে হানী রা. বলেন,
"(মক্কা বিজয়ের সময়) রাসুলুল্লাহ (ﷺ) যখন মক্কায় আগমন করলেন তখন তাঁর (ﷺ) চুলে চারটি গুচ্ছ বা বিনুনি ছিল" [তিরমিযী, আস সুনান ৪/২৪৬, আবু দাউদ, আস সুনান ৪/৮৩, ইবনু মাজাহ, আস সুনান ২/১১৯৯, ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৫৭২, ১০/৩৬০, আলবানী, মুখাতাসারুশ শামাইল/৩৫।]
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম বলেন, "তাঁর (ﷺ) চুল যখন লম্বা হতো তখন তিঁনি তা চারটি গুচ্ছে বিভক্ত রাখতেন।" [ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা'আদ : ১/১৭০।]
*আরবীতে চুল জড়িয়ে বা বিনুনি করাকে "গাদীরাহ" বলে। হাদীসে "আরবায়ু গাদায়ের" চারটি গুচ্ছ ভাষাটি ব্যাবহার হয়েছে।
ইবনু হাজার আসকালানী (রহ.) বলেন, "অধিকাংশ সময়ে তাঁর (ﷺ) চুল এরূপ কাঁধের কাছাকাছি থাকত। কখনো তা আরো লম্বা হতো এবং ঝুলন্ত গুচ্ছে পরিনত হতো। তিঁনি সেগুলোকে বিনুনি বানিয়ে রাখতেন" তবে কাঁধ অবধি থাকা তাঁর স্বাভাবিকতা ছিল।[ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী : ১০/৩৬০।]
হজ্জ বা উমরা ব্যতীত তিঁনি (ﷺ) কখনো মাথার চুল মুন্ডন করেছেন বলে জানা যায় না। [ইবনুল কাইয়িম, যাদুল মা'আদ ১/১৬৭, শামী সীরাহ শামিয়াহ ৭/৩৪৯-৩৫০।]
সেজন্যই এ নিয়ে মতভেদ আছে মুন্ডন করা যাবে কি যাবে না। কোনো কোনো ফকীহ হজ্জ উমরা ছাড়া মাথা মুন্ডন কে মাকরুহ বলেছেন। দু কারনে তাদের মতের পক্ষে এ প্রমান পেশ করেন। প্রথমত, রাসুলুল্লাহ সাঃ নিজে কখনোই হজ্জ উমরা ছাড়া মাথা মুন্ডন করেন নি। দ্বিতীয়ত - বিভিন্ন হাদীস থেকে মাথা মুন্ডন আপত্তিকর বলে জানা যায়। সাহাবীগন ছোট চুল রাখতেন। নেড়া পরিহার করতেন।
জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, "হজ্জে বা উমরা ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না" (দূর্বল সনদ) [তাবারানী, আল মু'জামুল আউসাত : ৯/১৮০।]
*দূর্বল হলেও বেশ কয়েক সনদে হাদীসটি উল্লেখ আছে। (তবে হাদীসের বর্ননা সূত্রের কেউ মিথ্যায় অভিযুক্ত নন)। আবু নু'আইমের বর্ণনায় হাদিসটি হলো,
"হজ্জে বা উমরা ছাড়া মাথার চুল ফেলা যাবে না। এছাড়া তা সৃষ্টি বিকৃতি করা বলে গণ্য হবে।" [আবু নু'আইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া : ৮/১৩৯।]
অন্য হাদীসে জাবির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
"যে ব্যক্তি (মাথার চুল) মুন্ডন করে, (পোশাক পরিচ্ছদ) ছিড়ে ফেলে বা চিৎকার করে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।" (সহীহ সনদ) [বুখারী,আস সহীহ : ৬/২৭৪৮।]
আবূ মূসা আশআরী (রা.) থেকে একাধিক গ্রহনযোগ্য সনদে এ অর্থে আরেকটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
(তবে এ হাদীসটি মূলত বিপদ মূসিবতে অধৈর্য্য হয়ে এরূপ করতে নিষেধ করা হয়েছে)
দুবা'য়ি নামক এক নিকৃষ্ট অপরাধী ব্যক্তিকে হযরত উমার (রা.) শাস্তি প্রদান করেন এবং বলেন,
"তোমাকে যদি মাথা মুন্ডিত অবস্থায় পেতাম তবে আমি যাতে তোমার চক্ষুদ্বয় রয়েছে তা (তোমার মস্তক) তরবারীর আঘাতে কেটে ফেলতাম।" মানে শাস্তি অধিক হতো।" [ইবনু কুদামা, আল মুগনী : ১/৬৫।]
এ থেকেও বোঝা যায়, সাহাবীগণ মাথা মুন্ডনের অভ্যাস কে আপত্তিকর বলে মনে করতেন। ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহি.) বলেন, প্রথম যুগের সালাফগন মাথা মুন্ডন করা মাকরুহ বলে মনে করতেন।[মোল্লা আলী কারী, মিরকাত : ৮/২৪০।]
যদিও তা হারাম বা গুনাহের কাজ ভাবা যাবেনা।
মোল্লা আলী কারী (রহ.) বলেন, "চুল দীর্ঘ হওয়া কোনো নিন্দিত বিষয় নয়। কাঁধ ছাপিয়ে পরিমাপের চেয়ে বড় হলে চুল কেটে ফেলতে হবে বলেও কোনো নির্দেশ নেই।" [
মিরকাত : ৮/২৪০।]
সুতরাং পুরুষের চুল কাঁধের নীচে চলে গেছে মানেই তিনি গুনাহ করছেন এটি দ্বীনি জ্ঞানে অজ্ঞদের ভাবনা। তবে এটি দ্বারা অহংকার প্রকাশ যেনো না হয়।
তবে মনে রাখতে হবে- বড় চুল রাখা পুরুষের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। অনেক ফকিহ দাড়ি বড় হবার আগে চুল বড় করতে বারন করেছেন (তাশাব্বুহ মায়ান নিসওয়ান)। ছোট করে চুল রাখাও জায়েজ। তবে মাথার সব অংশে তা সমান হতে হবে। কোথায় বড় কোথাও ছোট এভাবে কাঁটা ইসলাম সম্মত নয়।
কাতাদাহ (রা) থেকে বর্নিত - তাঁর কাধ ছাপিয়ে বিশাল চুল নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের কাছে জিজ্ঞাসা করলে রাসূল সা.তাঁকে একদিন পর একদিন চুল আঁচড়াতে এবং পরিপাটি করে রাখতে নির্দেশ দেন। [
নাসায়ী : ৮/১৮৪।]
চুলে তেল দেয়া, সুগন্ধি মিশিয়ে তেল দেয়া, পুরুষের জন্য আঁচড়িয়ে পরিপাটি রাখা, মাঝে সিথি করাও সুন্নাহ।[ মুয়াত্তা মালিক : ২/৯৪৯।]
সুতরাং যাদের দারা সম্ভব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের দায়েমী এ চুলের সুন্নাতের আমল করতে পারি। কেউ বড় চুল রাখলে, কানের লতি ছাপিয়ে নীচে গেলেই না বুঝে আপত্তিকর বাজে মন্তব্য না করি। আল্লাহ আমাদের বুঝ দান করুন।
🔲 আরো বিস্তারিত জানতে ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহি.) রচিত "ইসলামে পোশাক পর্দা ও দেহ-সজ্জা" বইটি পড়ে নিতে পারেন।
মাত্র ২০০০ টাকায় বিমান ভ্রমন।
বাসের ভাড়ায় বিমান। Biman Bangladesh। Low price air ticket। বিমানবন্দর । Dhaka airport
কম পরিচিত ফল বিলিম্বি। ছোট কিন্তু লম্বাটে আকারের। দেখতে খুবই সুন্দর। এই জুলাই মাসে ফলটি বাজারে আসে। অনেকেই বিলিম্বিকে কামরাঙ্গার নিকট আত্মীয় বলে থাকেন। এর স্বাদও অনেকটা কামরাঙ্গার মতোই। শুধু স্বাদই নয় প্রজাতি, বিন্যাস, পরিবার, গুণ সবকিছুতেই কামরাঙ্গার অনুসারী। এক কথায় কামরাঙ্গার ছোট সংস্করণ। আমাদের দেশে কম পরিচিত হলেও বিভিন্ন দেশে বেশ পরিচিতি রয়েছে বিলিম্বির।
বিলিম্বির ইংরেজি নাম Bilimb । বৈজ্ঞানিক নাম Averrhoa bilimbi (এভারোয়া বিলিম্বি)। বিলিম্বির গাছ ইংরেজিতে Cucumber tree বা Tree sorrel নামেও পরিচিত। বিলিম্বি অক্সিডেসি গোত্রের অন্তর্গত একটি উদ্ভিদ।
বিলিম্বির উৎপত্তি সম্ভবতঃ ইন্দোনেশিয়ার মলুক্কাসে। তবে অনেক উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর মতে বিলিম্বির উৎপত্তি ব্রাজিলে এবং পরে তা দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এটি মূলতঃ উষ্ণ আবহাওয়ার উদ্ভিদ। ভারতের উষ্ণ আবহাওয়ায় বিলিম্বি খুব ভালো জন্মে। বিশেষ করে কেরালা, মহারাষ্ট্র, তামিল নাড়ু এবং গোয়ায় বিলিম্বি খুবই জনপ্রিয়।
এই গাছটি ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মায়ানমার প্রভৃতি দেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই চাষ করা হয় অথবা আধ-বুনো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। ১৭৯৩ সালে বিলিম্বি টিমর থেকে জ্যামাইকা এবং বেশ কিছু বছর পর মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা যেখানে এটি mimbro নামে সর্বত্র চাষ করা হয়।
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ- Plantae, বিভাগ- Magnoliophyta, শ্রেণি- Magnoliopsida, বর্গ- Oxalidales, পরিবার- Oxalidaceae, গণ- Averrhoa, প্রজাতি- A. bilimbi, দ্বিপদী নাম- Averrhoa bilimbi.
বিবরণ
বিলিম্বি দেখতে অনেকটা পটলের মতো, তবে এর চেয়ে ছোট। এই ফলটি ৩-৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হয়। বিলিম্বি গাছে প্রচুর ফল আসে এবং ধরে খুবই অদ্ভুতভাবে। গাছের ডালে তো বটেই, কান্ড ঘিরেও ফল ধরে। গাছ খুব বেশি বড় হয় না, ৫-১০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। পাতাগুলো কামরাঙ্গার মতোই। এপ্রিল-মে মাসে গোলাপী-সাদা রং-এর ফুল ফোটে। গাছের কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখায় থোকায় থোকায় ফল ঝুলে থাকে। সাধারণত জুলাই মাসে ফল পাকে। কাঁচা অবস্থায় বিলিম্বি সবুজ এবং পাকলে হালকা হলুদ রঙের হয়ে থাকে।
ব্যবহারসমূহ
বাংলাদেশে বিলিম্বি কাঁচা ও পাকা দুই ভাবেই খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। বিলিম্বি কামরাঙ্গার মতোই ঝাল-লবণ দিয়ে খেতে ভালো লাগে। ছোট মাছ ও ডালের সঙ্গে রান্নাতে বিলিম্বির জুড়ি নেই। ডাল বা মাংসতেও ব্যবহার করা যায়। ফলের স্বাদ টক, পাকা বিলিম্বি দিয়ে আচার বা চাটনি তৈরি করা হয়। বিলিম্বি দিয়ে তৈরি চাটনি ও আচার খুবই মজাদার। এ ফলটি কাঁচা অবস্থায় খুব টক হলেও রান্নার পর বা চাটনি কিংবা আচার তৈরি করার পর টক থাকে না।
ফিলিপাইননে সাধারণ খাবারের টক ভাব আনার জন্য বিলিম্বি curried বা এই ধরনের sinigang এবং paksiw যোগ করা হয়। সুস্বাদের জন্য অসিদ্ধ বিলিম্বি ভাত ও কোস্টারিকা মধ্যে মটরশুটি সঙ্গে পরিবেশিত হয়।
ইন্দোনেশিয়ায় তেঁতুল বা টমেটোর বদলে এটি কিছু খাবারের সঙ্গে যোগ করা হয়। এ দেশে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষিত করা হয় বিলিম্বি। মালয়েশিয়াতেও মিষ্টি জ্যাম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
ভারতের কেরল ও ভাটকলে এটা আচার তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয় এবং মাছ তরকারি তৈরিতে, বিশেষ করে সার্ডিনের সঙ্গে একে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও গোয়ায় এই ফল সাধারণত লবণ ও মসলা দিয়ে কাঁচা খাওয়া হয়। রোদে শুকনো বিলিম্বিকে আসামে সুনতি বলা হয়। এখানে আমের চাটনির বদলে ব্যবহৃত হয়।
১০০ গ্রাম বিলিম্বির পুষ্টিগুণ
আর্দ্রতা ৯৪.২-৯৪.৭ গ্রাম, আমিষ ০.৬১ গ্রাম, Ash ০.৩১- ০.৪০ গ্রাম, তন্তু ০.৬ গ্রাম, ফসফরাস ১১.১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩.৪ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.০১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন ০.০১০ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন ০.০২৬ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ০.০৩৫ মিলিগ্রাম, Ascorbic Acid ১৫.৫ মিলিগ্রাম, Niacin ০.৩০২ মিলিগ্রাম।
ঔষুধি গুণাগুণ
সর্দি কাশি নিরাময়ে বিলিম্বি ফুল ভালো কাজ দেয়। গরম পানির সঙ্গে এটিকে জ্বাল দিতে হবে । এই পানি নিয়মিত সেবন করলে সর্দি-কাশি ভালো হয়ে যায় ।
বিলিম্বি গাছের ফল প্রতিনিয়ত খেলে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
বিলিম্বির পাতা বিষধর প্রাণীর কামড় থেকে নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় ।
বিলিম্বির পাতা বেটে গায়ে লাগালে চুলকানি নিরাময় হয়ে থাকে ।
ফিলিপাইননে বিলিম্বির পাতা চুলকানি, ফোলা, বাত, মাম্পস বা চামড়া ফাটার জন্য পেস্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অন্যত্র বিলিম্বির পাতা বিষধর প্রাণীর কামড় থেকে নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করে। ঠাণ্ডা এবং কাশিতে ব্যবহার করা হয় পাতার রস।
মালয়েশিয়াতে তাজা বিলিম্বির পাতা যৌনরোগ রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফরাসি, গায়ানাতে, ফল থেকে তৈরি সিরাপ প্রদাহ ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ভারতের তিরুবনন্তপুরম জেলার কিছু গ্রামে বিলিম্বি ফল স্থূলতা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঔষধ ব্যবহার করা হয়।
তথ্যসূত্র : ফল সংক্রান্ত বই এবং উইকিপিডিয়া।